স্থির বিদ্যুৎ. A child with interesting hair AI-generated content may be incorrect..
স্থির বিদ্যুৎ (কিছু ঘটনা). শীতকালে শুকনো চুল চিরুনি দিয়ে আঁচড়িয়ে তোমাদের প্রায় সবাই নিশ্চয়ই কখনো না কখনো ছোট ছোট কাগজের টুকরাকে সেই চিরুনি দিয়ে আকর্ষণ করেছ। শীতপ্রধান দেশে শীতকালে বাতাস খুব শুকনো থাকে, তখন ছোট শিশু যখন কার্পেটে হামাগুড়ি দেয়, তখন তাদের চুল খাড়া হয়ে যায়, দেখে মনে হয় একটি চুল বুঝি অন্য চুলকে ঠেলে খাড়া করিয়ে দিয়েছে। তোমরা সবাই নিশ্চয়ই ঝড়ের রাতে আকাশ চিরে বিদ্যুতের ঝলককে নিচে নেমে আসতে দেখেছ। কাগজের আকর্ষণ, চুলের বিকর্ষণ কিংবা বজ্রপাত- এই তিনটি ব্যাপারের মূলেই কিন্তু একই বিষয় কাজ করেছে, সেটি হচ্ছে চার্জ বা আধান। চার্জ বা আধান কী, কেন সেটা কখনো আকর্ষণ করে, কখনো বিকর্ষণ করে আবার কখনো বিদ্যুৎ ঝলক তৈরি করে। ইত্যাদি বোঝার জন্য আমাদের একেবারে গোড়ায় যেতে হবে, অণু-পরমাণু কেমন করে তৈরি হয় সেটা জানতে হবে।.
স্থির বিদ্যুৎ.
ঘর্ষণে স্থির বিদ্যুৎ তৈরি. উপরোক্ত ঘটনা ব্যাখ্যায় আমাদের বুঝতে হবে- মৌলের পরমাণুর ইলেক্ট্রন বিন্যাস মৌলের আয়নের ইলেক্ট্রন বিন্যাস ধনাত্মক আধান ও ঋণাত্মক আধান ইলেকট্রন আসক্তি দুটি পদার্থ ঘর্ষণের ফলে কে ধনাত্মক আহিত হবে , কে ঋণাত্মক আহিত হবে.
ঘর্ষণে স্থির বিদ্যুৎ তৈরি.
ঘর্ষণে স্থির বিদ্যুৎ তৈরি. যদি এক টুকরো কাঁচকে যদি এক টুকরো সিল্ক দিয়ে ঘষা হয় , তাহলে কাঁচ থেকে ইলেকট্রনগুলো সিল্কের আসতে শুরু করবে অর্থাৎ কাঁচটি হবে পজিটিভ বা ধনাত্মক চার্জযুক্ত আর সিল্কটি হবে নেগেটিভ চার্জযুক্ত। ব্যাপারটা ঘটে কারণ ইলেকট্রনের জন্য কাঁচের যত আসক্তি সিল্কের থেকে বেশি।.
ছবিতে কোনটির ইলেকট্রন আসক্তি বেশি কোনটির কম ?. ক)ফ্লানেল খ) প্লাস্টিক গ) হাত ঘ) বাতাস.
আধান বা চার্জ কী ও এর বৈশিষ্ট্য. আমরা যখন মহাকর্ষ বল পড়েছি তখন দেখেছি সেখানে শুধুমাত্র এক রকম বল বা আকর্ষণ বল থাকে। এর কারণ ওর শুধুমাত্র এক রকমের হয়। ঋণাত্মক ভর বলে কিছু নাই। এখন আমরা দেখছি এখানে দুই রকম চার্জ এবং বলটিও দুই রকম, কখনো আকর্ষণ, কখনো বিকর্ষণ। একই ধরনের চার্জ একে অপরকে বিকর্ষণ করে, কিন্তু ভিন্ন ধরনের চার্জ একে অপরকে আকর্ষণ করে।.
আধানের বৈশিষ্ট্য. আধান বা চার্জ হলো পদার্থের একটি মৌলিক ভৌত ধর্ম, যার কারণে এটি বিদ্যুৎচুম্বকীয় ক্ষেত্রের মধ্যে থাকলে আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বল অনুভব করে। আধানকে সাধারণত q বা Q দ্বারা প্রকাশ করা হয় এবং এর এসআই একক হলো কুলম্ব (C)। আধানের বৈশিষ্ট্য আধানের প্রকারভেদ: আধান দুই প্রকার: ধনাত্মক(positive) ও ঋণাত্মক (negative)। আকর্ষণ ও বিকর্ষণ: সমজাতীয় আধান পরস্পরকে বিকর্ষণ করে (যেমন ধনাত্মক-ধনাত্মক বা ঋণাত্মক-ঋণাত্মক)। বিপরীতধর্মী আধান পরস্পরকে আকর্ষণ করে (যেমন ধনাত্মক-ঋণাত্মক)। আধানের নিত্যতা: কোনো বিচ্ছিন্ন ব্যবস্থায় মোট আধানের পরিমাণ সর্বদা অপরিবর্তিত থাকে। অর্থাৎ আধান সৃষ্টি বা ধ্বংস করা যায় না, এটি কেবল এক বস্তু থেকে অন্য বস্তুতে স্থানান্তরিত হতে পারে। e হলো ইলেকট্রনের আধান, যার মান প্রায় 1.6 X 10^ C। আধান ও ভর: আধান ভরের সাথে সম্পর্কিত। কোনো বস্তুর আধান থাকতে হলে তার ভর থাকতে হবে, কিন্তু ভর থাকলেই যে আধান থাকবে এমন কোনো কথা নেই।.
তড়িত আবেশ.
তড়িত আবেশ. প্রশ্ন: দুটো ধাতব গোলক রয়েছে। একটি পজিটিভ চার্জযুক্ত কাঁচের দণ্ড দিয়ে দুটো গোলককে কি দুই রকমের চার্জ তৈরি করতে পারবে?.
ইলেকট্রোস্কোপ. ইলেকট্রোস্কোপ স্থির বিদ্যুৎ পরীক্ষার জন্য খুব চমৎকার একটা যন্ত্র। যন্ত্রটা খুবই সহজ, এখানে চার্জের অস্তিত্ব বোঝার জন্য রয়েছে খুবই হালকা সোনা, অ্যালুমিনিয়াম বা অন্য কোনো ধাতুর দুটি পাত। এই পাত দুটো একটা সুপরিবাহী দণ্ড দিয়ে একটা ধাতব চাকতির সাথে লাগানো থাকে, পুরোটা একটা অপরিবাহী ছিপি দিয়ে কাঁচের বোতলের ভেতর রাখা হয়, যেন বাইরে থেকে দেখা যায় কিন্তু বাতাস বা অন্য কিছু যেন পাতলা ধাতব পাত দুটোকে নাড়াচাড়া করতে না পারে।.
চার্জের প্রকৃতি বের করা(ধনাত্মক নাকি ঋণাত্মক). কোনো একটা বস্তুতে যদি চার্জ জমা হয় তাহলে সেটা কি পজিটিভ নাকি নেগেটিভ চার্জ সেটা ইলেকট্রোস্কোপ দিয়ে বের করা যায়। প্রথমে ইলেকট্রোস্কোপের চাকতিতে পরিচিত কোনো চার্জ দিতে হবে। ধরা যাক কাঁচকে সিল্ক দিয়ে ঘষে পজিটিভ চার্জ তৈরি করে আমরা সেটাকে চাকতিতে স্পর্শ করলে যদি সোনার পাত দুটির ফাঁক কমে যায় তাহলে বুঝতে হবে এর মাঝে নেগেটিভ চার্জ। যদি ফাঁকটি আরো বেড়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে চার্জটি নিশ্চয়ই পজিটিভ।.
q2 10.09: F.. k = 9 x 109 Nm2/C2.
e: +1 5M 10 cm.
10 (a) (b) Gal 10-10: (a) 10 crn +1 C —1 At (Sai 10.10 b).